KRA & KPI Story 3
আমাদের দেশে কর্পোরেট অফিসগুলোতে এমপ্লয়ীদের কাজের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সাধারণত বছর কেন্দ্রিক।মিঃ করিম সাহেব একটা কর্পোরেট অফিসে কাজ করেন। অফিসে জানুয়ারী মাসে করিম সাহেবের কাজের অনেক সুনাম ওনার বসও ওনাকে অনেক পছন্দ করেন এবং ভালোবাসেন। অফিস জুড়েই উনার একটা ভালোলাগার কর্ম পরিবেশ, এবং এই ধারা ফেব্রুয়ারী- মার্চ থেকে নভেম্বরের পর্যন্ত চলতে থাকলো। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে গিয়ে কোন একটা কাজের বিষয়ে ওনার বসের সাথে মতের একটু অমিল হলো। ব্যস, করিম সাহেব তখন খুবই খারাপ লোক হয়ে গেলেন এবং তার পুরো বছরের অর্জন শূন্য হয়ে গেলো। বাৎসরিক এমপ্লয়ীদের যে কাজের মূল্যায়ন সেখানে করিম সাহেব খুবই খারাপ মার্ক পেলেন এতে করে করিম সাহেবের ইনক্রিমেন্ট কিংবা প্রমোশন কোনটাই হলো না। করিম সাহেব যে ভালো কর্মকর্তা ছিলেন তার কোন মূল্যায়ন পেলেন না । এই কারণে করিম সাহেবের ভিশন মন খারাপ এবং তিনি তার কাজের উৎসাহ হারিয়েছেন। করিম সাহেবের ঘটনায় অফিসের অন্যরাও মর্মাহত হয়েছেন এবং সর্বোপরি সবার কাজের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছে ।এইখানে করিম সাহেবের ঘটনাটা একটি চিত্র মাত্র। এই রকম আরও অসংখ্য চিত্র আছে। কিন্তু যদি এমন হতো করিম সাহেবের কাজের মূল্যায়নটা বাৎসরিক না হয়ে কোয়াটারলি হতো, তাহলে তিনি কিন্তু প্রথম কোয়াটার, ২য় কোয়াটার, ৩য় কোয়াটারে ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারতেন এবং ৪র্থ কোয়াটারের ফলাফল ভাল না হলেও গড় ফলাফলে করিম সাহাবের অবস্থান ভাল থাকতো এবং তিনি ইনক্রিমেন্ট কিংবা প্রমোশনের জন্য বিবেচিত হতে পারতেন । অফিসেরও কর্ম পরিবেশের ব্যঘাত ঘটতো না। করিম সাহেবের ঘটনা বিবেচনায় নিয়েই আমরা আমাদের Automated KPI ভিত্তিক Performance Management System Software Solution এ Quarterly Assessment এর ব্যবস্থা করেছি যেখানে প্রতি Quarter এ Employee দের Assessment সম্পন্ন হয় এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে সকল Quarter এর ফলাফলকে গড় করে ফাইনাল ফলাফল তৈরী করা হয়। আমরা আশা করি এই Solution করিম সাহেবসহ সকল Employee এবং প্রতিষ্ঠানের Culture Improvement এ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।করিম সাহেবের চরিত্র কাল্পনিক । চলবে ......